দেশের সংগীতাঙ্গনের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনির খান। কয়েক দশক ধরে শ্রোতাদের গান শুনিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কোটি শ্রোতার ভালোবাসার পাশাপাশি জয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি। এখনও সংগীত সাধনায় নিমগ্ন।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগেও হারিয়ে যাননি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছেন অনলাইনে সরব থেকেও। নিয়মিতই তার ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যায় নতুন গান। সেসব গান প্রচারে না থাকলেও তার শ্রোতা-ভক্তরা ঠিকই লুফে নিচ্ছেন ভালোবেসে।
আরও পড়ুন-
ফিতা কাটার বিনিময়ে ভাল একটা পারিশ্রমিক পাই: অপু বিশ্বাস
আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে: চঞ্চল চৌধুরী
জনপ্রিয় এই শিল্পী একটা সময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনির খানকে নিয়ে ফের রাজনীতিতে ফেরার গুঞ্জন উঠে। যদিও বিষয়টি শেষপর্যন্ত গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
একটি সংবাদমাধ্যমকে মনির খান বলেন, আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি। দল যদি নির্বাচনে না যায়, তাহলে আমার তো নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের এলাকায় কিছু মানুষ আছে, তারা অপপ্রচারে বিশ্বাসী। তারা মানুষকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে আনন্দ পায়। ঠিক তারই একটি কৌশল মাত্র।
তিনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলছি—আমি কোনো নমিনেশন পেপার তুলিনি, কোনো নমিনেশন পেপার নিইনি। অনেকে বলছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে আমি নাকি নমিনেশন কিনেছি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুল। সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি কথা। যারা অপপ্রচার চালিয়েছে তারা সমাজের কাছে খারাপ, দেশের কাছে খারাপ, নিজের পরিবারের কাছেও খারাপ। যারা এ কাজটি করছে তারা নিজের কাছেও নিজে খারাপ। ভালো কাজ করার ক্ষমতা, যোগ্যতা বা সাহস, কোনো কিছুই নেই। এরা কাপুরুষ।
মনির খান বলেন, বাংলাদেশের কিছু মানুষ জন্মেছে অপপ্রচার করার জন্য। কিছু মানুষের মাথায় শুরু থেকেই পচন ধরে আছে। যারা সত্যকে সত্য বলতে পারে না, যারা নীতির কাছে বা নিজের সত্যতার কাছে কখনোই নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে পারে না, এরকম কিছু নোংরা মানুষ, কিছু নষ্ট মানুষ এই সমাজে বিরাজ করছে।
এই শিল্পী বলেন, আমার মহেশপুর কোটচাঁদপুর মিলে একটি সংসদীয় আসন; ঝিনাইদহ-৩। আপনি জানেন, আমি খুব সক্রিয়ভাবেই বিএনপি করতাম। ২০১৮ সালের নির্বাচনে একটু ঝামেলা হওয়ার কারণে সেখান থেকে আমি একটু দূরে ছিলাম। যেহেতু গানে আমার বিশাল একটা জায়গা ছিল, সেই জায়গাতেই আমি ফিরে এসে আবার সক্রিয়ভাবে গান করছি। আল্লাহ পাকের হুকুমে মানুষের কাছে সমানভাবে আবারও শিল্পী হিসেবে দাঁড়িয়েছি।
২০১৮ সালে বলেছিলেন আর কখনো রাজনীতিতে আসবেন না। এখন আবারও কি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আছে?, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করব না— এ কথা কিন্তু চিৎকার করে বলিনি। আমি বলেছি, আমি নিজে ব্যর্থ। আমার যেহেতু গানের বৃহৎ একটি জায়গা রয়েছে, আমি গানের জগতে ফিরে এসেছি। পরিস্থিতি বলে দেবে আমি কী করব। তখন আমি বলেছিলাম এটা। আমি সেই সিদ্ধান্তেই আছি।
মনির খান বলেন, দেশের স্বার্থে, সুষ্ঠু সমাজ গঠনে স্বার্থে, যদি আমার কোনো ভূমিকার প্রয়োজন হয় অবশ্যই আমি সেখানে একটি যোদ্ধা হিসেবে কাজ করব। এটা আপনার আমার সবারই নৈতিক দায়িত্ব। অসুস্থ পরিবেশকে সুস্থ করার জন্য যে যেখান থেকে পারি, দল থেকে হোক বা ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে হোক, এটা সবারই দায়িত্ব যে ভালো কিছু করার জন্য এগিয়ে আসা।
আরও পড়ুন-
জয় খুব ভাগ্যবান, শাকিবের মতো বাবা পেয়েছে: অপু বিশ্বাস
একবার ভুল হয়েছে, তাই বিয়ে নিয়ে এবার আমি বেশি নার্ভাস: স্বাগতা