দুর্দান্ত একটি বিশ্বকাপ হতে পারত ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য। শুরু থেকে সব ম্যাচ অপরাজিত থেকেও গত ১৯ নভেম্বর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ভারত। ভারতের এই পরাজয়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে কিছু মানুষকে উল্লাশ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার সামাজিক মাধ্যমে উল্লাস করেন। এতে ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা। ঠিক সেই সময়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম থেকে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল মতামত। এর কারণ হিসেবে ভারত বিদ্বেষী মনোভাবকে দায়ী করেছিলেন মনপুরা খ্যাত অভিনেতা।
দর্শকনন্দিত এই অভিনেতার এমন মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোপের মুখে পড়েন চঞ্চল। নেটিজেনদের অনেকে তার তীব্র সমালোচনা করেন। কেউ কেউ আবার দেন চঞ্চলকে বয়কটের ডাক। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন চঞ্চল। তিনি মনে করছেন তার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-
জীবনে পিয়ার মতো আর কাউকে এতটা ভালোবাসিনি: অনুপম
প্রয়োজনে ঢাকায় এসে ফেরদৌসের জন্য কাজ করতে চান ঋতুপর্ণা
সংবাদমাধ্যমকে চঞ্চল বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। আমার মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমি আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।
এর আগে ভারতের হারে বাংলাদেশের অনেকের উল্লাস প্রসঙ্গে ভারতের এক সংবাদমাধ্যমকে চঞ্চল বলেছিলেন, খেলাকে আর মানুষ শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে না। এটাই আমার খারাপ লাগার জায়গা। খেলাতে হার-জিত থাকেই, তবে সেটার ফলে এমন হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসা কাম্য নয়। বাংলাদেশে অনেক ভারত বিদ্বেষী আছে, এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। সে রাজনীতি হোক কিংবা খেলা। সবক্ষেত্রেই। এটা বাস্তব। সব দেশেই এমন থাকে। বাংলাদেশেও আছে।
তিনি আরও বলেছিলেন, তবে এটাই কিন্তু বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়। এখানে এ রকম প্রচুর মানুষ ভারতের সিনেমা ভালোবাসে। মুক্তিযুদ্ধের অবদান মনে রাখে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক নয়, তাদের পরিবার পরম্পরায় পাকিস্তানের পক্ষে। আর যারা ভারতবিরোধী তাদের প্রত্যেকের কাছে জনে জনে গিয়ে তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, ভারতকে সাপোর্ট করো।
চঞ্চল আরও বলেছিলেন, একটা দেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ আছে। বাংলাদেশের বহু মানুষ এখনও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। অনেকে আবার সমর্থনও করে। আবার ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হলে, অনেকে পাকিস্তানকেও সমর্থন করে। এমন নয় যে, বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষই ভারত বিদ্বেষী। এটা তো রাজনীতি বা খেলা সবক্ষেত্রেই হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যারা ছিল, তারা হয়ত ভারত বিদ্বেষী। তাই এহেন আচরণ করেছে।
অভিনেতা চঞ্চলের এমন স্পষ্ট বক্তব্যে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো নেটিজেন চঞ্চলের এমন স্পষ্ট বক্তব্য পছন্দ করেছেন। আবার কেউ কেউ তার এই বক্তব্যে ‘অতি ভারতপ্রেম’ বলে সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন-