জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এ ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার জন্য শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ফারজিনা আক্তার। ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পুরস্কার প্রদান করেন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজিনা। গরীব পরিবারের সন্তান ফারজিনা। অভাবে নিজেদের বাড়িটিও বিক্রি করতে হয়েছে। এরপর থেকে নানাবাড়িতেই থাকে তারা। ফারজিনার বাবা পেশায় কৃষক।
তার একটি কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়- ‘পুরস্কার নিতেই তো ঢাকাত আইছি। আমাদের টাকাও দেবে। সেই টাকা দিয়ে বাড়ি বানাবো। আমাদের কোনো বাড়ি নেই।’
পরে বিষয়টি নজরে এলে শিশু ফারজিনা আক্তারের পরিবারকে একটি ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রয়োজনে জমিসহ তাদের এই ঘর করে দেবেন তিনি। এ ছাড়া আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে নগদ অর্থ এবং পড়াশোনার জন্য সহায়তা পাচ্ছে ফারজিনা।
জানা যায়, ঢাকা থেকে ফেরার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ফারজিনাকে নিয়ে দেখা করেন তার বাবা মোহম্মদ সায়েম মিয়া। সেখানে তাঁদের মিষ্টি খাওয়ান জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। তিনি ফারজিনা ও তার বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। ফারজিনা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছবিও তোলে। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। ফারজিনার লেখাপড়ার জন্য নগদ ২০ হাজার টাকার সহায়তা দেন তিনি। সেই সঙ্গে সব সময় তার পরিবারের খোঁজখবর রাখার জন্য তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘ফারজিনার পরিবারের যে বসতভিটা ছিল, সেটি তারা বিক্রি করে দিয়েছে। এখন আর যদি জমি না থাকে, তাহলে জমির ব্যবস্থাসহ তাদের একটি ঘর করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রশাসন সব সময় এই পরিবারের খোঁজখবর রাখবে এবং তাদের সহযোগিতা করবে।’ ফারজিনার বাবা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা পাওয়ার একটি আবেদন করেছেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা এই সহায়তা পাওয়ার বিষয়েও তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব।’