মেট্রোরেল! সবচেয়ে আধুনিক আর দ্রুতগতির গণপরিবহন ব্যবস্থা। শুধু গতিই নয়, মেট্রোরেলই একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে। এজন্য উন্নত বিশ্বে যাত্রী পরিবহনে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে মেট্রোরেল। এই আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশও।
গেল বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করে রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা। প্রথমে চালু হয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল। আর চলতি বছরের ০৪ নভেম্বর সেই মেট্রোরেলে আগারগাঁও পেরিয়ে বিস্তৃত হয়েছে বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ব্যস্ততম মতিঝিল এলাকা পর্যন্ত। রাজধানীবাসী এখন উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে পারছে স্বল্প সময়েই।
এ নিয়ে যাত্রীরা যেমন উচ্ছ্বসিত তেমনি মেট্রোরেলের কোচের ভিতরের পরিপাট্য ও বাহিরের নান্দনিক অবকাঠামো দেখে মুগ্ধ। অন্তত এতদিন তো তাই ছিলেন। কিন্তু দেশের আর দশটা জায়গার মতই মেট্রোরেলের শোভা পাচ্ছে বিজ্ঞাপন। যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যায় একটি কোম্পানি তাদের ফ্রিজের বিজ্ঞাপন দিয়ে রীতিমত ছেয়ে ফেলেছে মেট্রোরেলের কোচের ভিতরটা। শুধু তাই নয় মেট্রোরেলের আন্তঃ ও বর্হিগমন ডোরওয়ের গায়েও লাগানো হয়েছে পোস্টার।
ফেসবুকে এসব ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে কমেন্টবক্সে নেটিজেনদের হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। তবে মেট্রোরেলের কোচের ভিতরে বিজ্ঞাপন নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশের মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপন দিতে দেখা যায়।’
যদিও কেউ কেউ এসব ছবি এডিট নাকি অরিজিনাল এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৫ কোটি টাকায় বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এড এজেন্সি মিডিয়া কম এর সাথে চুক্তি করা হয়েছে। এটা আমাদের বিজনেস প্লানিং এর একটা অংশ । উন্নত বিশ্বেও মেট্রো রেলে বিজ্ঞাপনের প্রচলন আছে। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা শুরু করেছি। এতে করে মেট্রোরেলের খরচ কমে আসবে বলে আমরা মনে করছি।
তবে দেখতে হবে যে শর্তে আমরা বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি দিয়েছি, সেটি ব্রেক হয়েছে কিনা। আর সেটি এখন দেখা হবে বলেও জানান সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ।