লক্ষ্মীপুর: বসে বসে একের পর এক ব্যালটে সিল মারছেন একজন ব্যক্তি। সবগুলোই নৌকা প্রতীকে। এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জানা যায়, ভিডিওটি গতকাল লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রের।
ইতিমধ্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে তৈরি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যালটে সিলমারা ব্যক্তিটি ছাত্রলীগ নেতা আজাদ হোসেন।
তবে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব বলছেন, আজাদ ছাত্রলীগের কেউ না। সাংগঠনিক পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় গত ৪ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি দেয়।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন ফেসবুক একাউন্ট থেকে নৌকা মার্কা সিলমারা ভিডিও’টি ভাইরাল হয়। ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে অনবরত নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তাঁর গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এ সময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাঁকে সিল মারতে দেখা যায়। তাঁকে নৌকায় সিল মারতে সহযোগিতা করছেন কক্ষে থাকা অন্য একজন ব্যক্তি।
জানা গেছে, গতকাল রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন কোনো এক সময় চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এসব বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
যদিও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিয়া গোলাম ফারুক দাবি করেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পুরোনো। গতকালের উপনির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটেনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ পুরোনো ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে সিল মারার বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচন শুরু থেকে ফলাফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত এমন কোনো ভিডিও আমাদের চোখে পড়েনি এবং কেউ জানাননি। এখন যদি এমন কোন ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচন টাইব্যুনালে অভিযোগ করার আহবান তার।