মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের বর্ণনা দিলেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর থানার শহীদবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার আসামি মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এদিকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। তিনি বর্ণনা দেন কিভাবে বিএনপির এ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশ গতকালও এসেছিল, আজকে ৩টা থেকে তারা এ বাসায় অবস্থান করছিল। তারপর তারা আমার একজন স্টাফকে তুলে নিয়ে যায়। তার (মির্জা আব্বাস) আরেকটা বাড়ি আছে সে বাড়িতেও তারা গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে খুঁজে না পেয়ে আরেকটা বাড়িতে গিয়েছে পরে সেখান থেকে তাকে (মির্জা আব্বাস) নিয়ে গেছে। আমি তার গ্রেপ্তারের আগে বা পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। খালি মানুষের কাছে শুনলাম যে মানুষ গাড়ি এসে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, গত কয়দিন ধরে শাহজাহানপুর, শহীদবাগ এলাকাটা কয়দিন ধরে অবরুদ্ধ। আজকে দুপুর থেকেই এমন। কোন মামলায় নিয়েছে বলতে পারব না আজকেও তো নতুন মামলা দিয়েছে। অনেকগুলো মামলা দিয়েছে। পুরোনো অনেকগুলো মামলা আছে যেগুলোতে জামিনে আছেন। টিভিতে দেখলাম গ্রেপ্তার দেখিয়েছে, আমি ওর (মির্জা আব্বাস) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ওনার (মির্জা আব্বাস) সঙ্গে একবার কথা হয়েছে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথায়? তারপর আর কথা হয়নি। আমাদের একটা গোডাউন আছে সেখানে গিয়ে ওকে (মির্জা আব্বাস) না পেয়ে কর্মচারীদের মারধর করেছে। তার আগে গতকাল সোমবার রাতে আমার দেবরের বাড়িতে গিয়ে একই কাজ করেছে। একেবারে ভেঙেচুরে প্রতিটি ফ্লোর তল্লাশি করে গেছে।

সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের ফলে আন্দোলন কোনদিকে যাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপির আরো সিনিয়র নেতারা আছেন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকার এত ভয় পাচ্ছে কেন? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তারা মনে করছে সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে মুখ বন্ধ করে রাখবে, এখন তৃণমূলও তো রুখে দাঁড়িয়েছে, সাধারণ জনগণও তো রুখে দাঁড়িয়েছে তারা ভয় পায় বলে এমন করছে। তারা এত উন্নয়ন করেছে, এত জনপ্রিয় তাদের তো এমন করার কথা না। তাহলে তারা একটা সুন্দর নির্বাচন দিতো বের হয়ে আসত, কিন্তু তারা জানে সুষ্ঠু একটা নির্বাচন তারা করতে পারবে না, কারণ সে নির্বাচনে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। সেজন্য তারা ভয় পেয়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *