আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার বিএনপির সঙ্গে শর্তযুক্ত সংলাপে রাজি নয়। শর্ত প্রত্যাহার করলে তবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংলাপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এই প্রেস ব্রিফিং হয়।
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এই আহ্বানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকেরা। জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি চায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিল করা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সংলাপের চিন্তা করব তখন, যখন তারা তাদের এসব শর্ত প্রত্যাহার করে নেবে। শর্তযুক্ত কোনো সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। শর্ত তারা প্রত্যাহার করলে দেখা যাবে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশ নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, এগুলো নিয়ে আমরা সবাই একমত।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসময় প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বিএনপি কার সঙ্গে সংলাপ করবে? তারা এর আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপ খারিজ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দু’দফা তারা যায়নি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সব আছে। সংবিধানে যেভাবে নির্বাচন বিধিবিধান রয়েছে, সেভাবে নির্বাচন হবে। কারো পরামর্শ বা নির্দেশ মতো হবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে। দেখুক আমরা যা বলছি সেভাবে নির্বাচন হচ্ছে কিনা।’
এসময় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার একটা থাকতে পারে। গতবার যেভাবে (মন্ত্রিসভা) ছিল, ওটাই নির্বাচনকালীন সরকার ছিল। এটার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন মন্ত্রিসভা ছোট করা দরকার বা যেভাবে রয়েছে সেভাবে থাকা দরকার, এটা তার এখতিয়ার। এখনই এই আলাপ করার সময় না। শিডিউল ডিক্লেয়ার (তফসিল ঘোষণা) হলে হতে পারে।