পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৭,৫৬৮ টাকা করার প্রস্তাব

চলতি বছরের আসছে নভেম্বরে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা হবে। এতে শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সর্বশেষ ২০১৮ সালে নির্ধারণ করা হয়। সে সময় মজুরি নির্ধারিত হয় ৮ হাজার টাকা। মূল্যস্ফীতি, শ্রমিকের আর্থিক নিরাপত্তা বিবেচনায় সিপিডি ৯ হাজার ৫৬৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন এই ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব দিয়েছে।

রবিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত ‘গার্মেন্টস খাতে নূন্যতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাবনায় এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। দুজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে সামনে রেখে একটি পরিবারের ন্যূনতম খরচ হিসেবে করে এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র গবেষণা সহকারী তামিম আহমেদ।

যেখানে বলা হয়, একজন পোশাক শ্রমিকের পরিবারের খাবার খরচ ১৬ হাজার ৫২৯ টাকা ও অন্যান্য খরচ ১২ হাজার ৮৮১ টাকা। মোট মাসিক খরচ ২৯ হাজার ৪১০ টাকার। এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতি যোগ করলে দাঁড়ায় ৩১ হাজার ৯৪২ টাকা। সঙ্গে ১০ শতাংশ সঞ্চয়ও উল্লেখ করা হয়েছে, যা দুজনের আয়ের গড় করলে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা। এ কারণে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি ১৭,৫৬৮ টাকার কম করলে হবে না।

সিপিডি জানিয়েছে, তারা ৭৬টি কারখানার ২২৮ জন শ্রমিকের ওপর গবেষণা করে এই প্রস্তাব দিচ্ছে।

নিম্নতম বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, আমাদের টার্গেট হলো নভেম্বরের মধ্যে আমরা একটা ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করতে পারব৷ আমরা ইতোমধ্যে শ্রমিক ইউনিয়ন ও সংগঠন থেকে কিছু স্মারকলিপি পেশ করেছি৷ আমরা বোর্ড সভায় এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই একটা মজুরি বোর্ড গঠন করব।

শ্রমিক-মালিক দুই পক্ষই যাতে ভালো চলতে পারে। কারখানাগুলো টেকসই হয়। বন্ধ না হয়। কারণ, কারখানা বন্ধ হলে তো শ্রমিকরা শেষ৷ এজন্য একটা গ্রহণযোগ্য বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা কঠিন। আমরা তবুও চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *