দরজায় কড়া নাড়ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিন মাস। নির্বাচনের সময় যখন ঘনিয়ে আসছে তখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশ নানা ঘটনাবলির ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে প্রথম দফা ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তা নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন, গুজব বাতাসে ভাসছে। নানা জনের নাম আসছে আলোচনায়। সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরাও। আলোচনায় আছেন এমন একজন হলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তার বিরুদ্ধে কথা উঠেছে তার নামও নাকি ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক এই বিচারপতি। বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
শামসুদ্দিন মানিক বলেন, ‘আমি শুনেছি আমারও নাম নাকি ভিসানীতিতে আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নামও নাকি আছে। এটা দিয়ে কী হবে। আমাদেরতো আমেরিকা যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমিতো লন্ডনে থাকি। আমি জানি না, কিছু লোক বলছে। যারা নির্বাচন বিরোধিতা করছে তাদের জন্য ভিসানীতি। আমরাতো চাই নির্বাচন হোক। সুতরাং আমার নাম যদি তালিকায় থেকে থাকে তবে তা কিসের ভিত্তিতে।’
সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘শুনেছি সুপ্রিম কোর্টের সাবেক চার/পাঁচ বিচারপতির নাম তালিকায় রয়েছে। এতে কিছু যায় আসে না। এতে আমাদের মাথাব্যথার কিছু নেই। কিছু লোককে যদি আমেরিকায় না যেতে দেয়, এতে নির্বাচনের কোনো ক্ষতি হবে না।’
ভিসানীতি আসার জন্য কারা দায়ী- সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির। আমার নাম যদি সত্যি থেকে থাকে, তাহলে নিশ্চিত বিএনপি আমার নাম পাঠিয়েছে। পয়সার জোরে তারা এটি করিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দিন শেষে বিএনপির সব কিছু ভন্ডুল হবে। আমি তো আর নির্বাচন পণ্ড করতে চাই না। বিচারপতি খায়রুল হকও লন্ডনে আছেন।