গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয় লিটনকে

মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নির্মাণাধীন অটোরাইস মিলে সাওতাল সম্প্রদায়ের লিটন মুরমু (২৫) নামে এক শ্রমিক হত্যার ক্লুলেস মামলার রহস্য চার দিনের মধ্যে উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৫ আগস্ট সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার রাণীগাও গ্রামে সেতু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের নির্মাণাধীন অটোরাইস মিলের সাইলো থেকে সেখানে কর্মরত শ্রমিক দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার বিক্রমপুর গ্রামের মৃত কান্দেলা মুরমুর ছেলে লিটন মুরমুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় লিটন মুরমুর বড় ভাই বাবলু মুরমু বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

একপর্যায়ে পুলিশ সুপারের তদারকি ও দিক-নির্দেশনায় থানা পুলিশ গত ২৮ আগস্ট একই মিলে কর্মরত সহকর্মী সন্দেহভাজন আসামি দিনাজপুরের বিরল থানাধীন কাশিডাঙ্গা এলাকার মোজাফফর আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলামকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। রাকিব জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করে, লিটন মুরমুর সঙ্গে গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও অশ্লীল গালিগালাজের প্রেক্ষিতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে থাকা লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে লিটনের মাথার পিছনে সজোরে আঘাতে হত্যা করে এবং সঙ্গে থাকা ৩ হাজার ৭শ টাকাসহ মানিব্যাগ নিয়ে নেয়।

পরে সে টাকা বের করে নেওয়ার পর মানিব্যাগসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার অ্যাঙ্গেল পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক টাকা, মানিব্যাগ ও লোহার অ্যাঙ্গেল উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় আসামি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম খানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) সোহেল মাহমুদ, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *