‘রূপে-গুণে অনন্যা’— এই বিশেষণ যেন একদম মিলে যায় অভিনেত্রী রুনা খানের বেলায়। বেছে বেছে অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিকমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় এ অভিনেত্রী। তার রূপের ঝলকে কুপোকাত আট থেকে আশি। সম্প্রতি রুনা খান কথা বলেছেন একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
নতুন সিনেমা সম্পর্কে কিছু বলুন।
মাসুদ পথিক পরিচালিত ‘বক-দ্য সোল অব ন্যাচার’ সিনেমার শুটিং করছি মেঘনার একটি চরে। আমার চরিত্রের নাম সবিতা। সবিতার স্বামী একজন বক শিকারি। এই সিনেমায় উঠে আসবে জীবনের গল্প, প্রকৃতির গল্প এবং নদী তীরের মানুষের গল্প। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আট বছর আগের একদিন’ অবলম্বনে ‘বক’ সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে।
চরের মধ্যে শুটিং করতে কেমন লাগছে?
চরে সেভাবে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। নৌকা ছাড়া চর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। এখানে শুটিং করতে আসার পর বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির দৃশ্যের জন্য কৃত্রিম বৃষ্টির প্রয়োজন হয়নি। সব মিলিয়ে ১০টি বৃষ্টির দৃশ্য করেছি। প্রকৃতির বৃষ্টির মধ্যে শুটিং করতে পেরেছি। আবার রোদের মধ্যেও শুটিং করছি। এখানে রোদ মানে ভয়াবহ রোদ। আমি তো গ্রামের মানুষ, জন্ম গ্রামে। বড় হয়েছি সবুজের মধ্যে। যখনই প্রকৃতির মধ্যে আসি, ভালো লাগে।
এখানে সীমাবদ্ধতা আছে। চরের বিভিন্ন মানুষের বাড়িতেই আমরা থাকছি। এখানকার মানুষ খুব ভালো। আমার জন্য কেউ গাছ থেকে পেয়ারা নিয়ে আসছেন, কেউ আবার বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসছেন। সীমাবদ্ধতা থাকলেও চরের সৌন্দর্য এবং এখানকার মানুষের ভালোবাসা সব ভুলিয়ে দিচ্ছে।
এমন কোনো দৃশ্য আছে, যার জন্য অনেক সময় লেগেছে?
‘বক’ সিনেমার একটি দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টানা পানিতে ছিলাম। ৪০ জনের একটি টিম। নদীর মধ্যে দৃশ্য। কেউ নৌকায়, কেউবা তীরে। এটা দেখে চরের মানুষ বলেছেন, তোমাদের কাজ তো অনেক কঠিন।
নানা রকমের চরিত্রে অভিনয় করতে কেমন লাগে?
একজন অভিনয় শিল্পীর বড় বিষয় হচ্ছে, তিনি এক জীবনে বহু জীবন দেখতে পান। এক জীবনে বহু জীবনযাপন করতে পারেন অভিনয়ের জন্য, চরিত্রে মিশে যাওয়ার জন্য। শিল্পী বলেই তা সম্ভব। এটাকে খুব ইতিবাচকভাবে দেখি। বেশ ভালো লাগে।