সম্পর্কের ভাঙন-গড়নের খবরে একাধিকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণি।
বিয়ের এক বছরের মাথায় বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে আলোচনায় আসেন এই জুটি। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের সাংসারিক জীবনের নানা অশান্তির চিত্র প্রকাশ্যে আসে।
সবশেষ রাজকে ছাড়াই ছেলের জন্মদিন উদযাপন করেন পরী। সে সময় এই অভিনেত্রী জানান, রাজের সঙ্গে তার সকল সম্পর্ক শেষ। এমনকি রাজ্যর জন্মদিনের একদিন আগে পরীমণির বাসায় এসে ছেলের দেখা পেলেও পরীর দেখা পাননি রাজ। নায়িকা ইচ্ছে করেই নায়কের সামনে হাজির হননি।
বিষয়গুলো নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখনই হুট করে এক ফ্রেমে দেখা মিললো রাজ-পরীর। এই তারকা পুত্রের জন্মদিন আয়োজন করেছে টিএম ফিল্মস। সেখানেই একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন এই দম্পতি।
পরীমণির সঙ্গে ফের একত্রিত হচ্ছেন রাজ, তেমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এই নায়কের সম্প্রতি দেওয়া এক বক্তব্য। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমি পরীকে বিয়ে করেছি, বউয়ের সঙ্গেই সম্পর্কটা আগে। পরে সন্তানের সঙ্গে।’
ছেলের প্রথম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজ বলেন, ‘কেন যাইনি, কী কারণে যাইনি, সেটি আমিই জানি, বাইরের অন্য কেউ বুঝবে না। তাই সেটি নিয়ে কথা বলে লাভ হবে না। বললেও হয়তো আমার কথা মানুষ বিশ্বাস করতে চাইবে না। সবার অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু কলকাতা থেকে ফিরে একজন বাবা হিসেবে অনুষ্ঠানে আগের রাতে বাবুকে দেখতে বাসায় গিয়েছিলাম। বাবুর সঙ্গে সময় কাটিয়ে এসেছি।’
এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি বলেছেন, ‘এখন আমার সঙ্গে রাজের কোনো সম্পর্ক নাই, সম্পর্ক তাঁর ছেলের সঙ্গে।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজ বলেন, ‘মানে কী, আমি পরীকে বিয়ে করেছি, বউয়ের সঙ্গে সম্পর্কটাই আগে। পরে সন্তানের সঙ্গে। সত্যি কথা কী, পরী সবকিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে সন্তানকে নিয়ে সব সময় সেলিব্রেশন করে, করছে, এ বিষয়টি আমার ভালো লাগে।’ রাজের ভাষায়, ‘পরীর জীবনে সুন্দর একটি উপহার, আনন্দের একটি উপহার সন্তান রাজ্যকে দিতে পেরেছি, এটি আমার জন্য আনন্দের, গর্বের।’
পরীর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত পাওয়া গেল রাজের কথায়। তিনি বলেন, ‘এ জীবনে আমি অনেক ঝামেলা ফেস করেছি। আর করতে চাই না। জীবনটা স্বাভাবিক চাই, শান্তি চাই। আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না।’ তাঁর মন্তব্য, ‘বেবির জন্য হলেও আমার জীবনটা ঠিকঠাক করতে হবে। সে এখন বড় হচ্ছে। আরও পাঁচ-ছয় বছর পরে সে ভালোভাবে চলাফেরা করবে, কথা বলবে। তার একটা সুন্দর জীবন দিতে চাই।’