সভা-সমাবেশ করতে গণঅধিকার পরিষদ পুলিশের কাছ থেকে আর কোনো অনুমতি নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে ঢাকার পল্টনে কালভার্ট রোড জামান টাওয়ারের সামনের রাস্তায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
নুর বলেন, সমাবেশ করার আগে এতদিন গণঅধিকার পরিষদ পুলিশের সহযোগিতায় চেয়ে আবেদন করত। পুলিশ এখন বলছে সহযোগিতা নয়, অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করতে হবে। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদ সমাবেশ করতে পুলিশের কাছ থেকে আর কোনো অনুমতি নেবে না।
এ সময় অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি না নিতে আহ্বান জানান গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি।
নুর বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল ভারতে গেছে, ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সাথে চুক্তি করেছে। তারা যেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনে। তাই এদের হাতে এখন আর দেশ-জনগণ, দেশের মানুষের ধর্মকর্ম নিরাপদ নয়।
নুর বলেন, ‘সরকার দুটো কারণে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এক, প্রতিনিয়ত এই সরকারের অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন নিয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকায়। দুই, এই সরকারের ফাদার-মাদার, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে টিকিয়ে রেখেছে, সেই ভারতীয় আগ্রাসন ও আদিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এসব কারণে বারবার আমার ও আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের ছাত্র, যুব, শ্রমিকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি নজরদারি, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।’
হামলা-মামলা, হুমকি-ধমকি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে না উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, নিজেদের সেইফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দেন।
সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা ধরা শুরু করেছে। তবে এবার আর বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতা থাকা যাবে না। এবার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করে নতুন নাটক শুরু করেছে। কোনো নিপীড়নমূলক আইন মানা হবে না।