বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছে উল্লেখ করে দলটির নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে ইসি সচিবের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের দপ্তর থেকে বেরিয়ে মাইনুল হোসেন খান নিলিখ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি যতদিন বাংলার মাটিতে থাকবে, ততদিনই তারা দেশ ধংসের চকান্তে থাকবে। ততদিনই তারা পেট্রল বোমা হামলা, আগুনে পোড়ানো, গ্রেনেড হামলা, মানুষ হত্যা করা, মানে সারা বিশ্বের কাছে ২০০৫ সালে যেমন জানান দিয়েছিলেন যে সারা বাংলাদেশে সিরিজ বোমা হামলা করে বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরেছিল, সেই পথেই তারা হাঁটতে চায়।
অতএব আমরা মনে করি এ সংগঠনের বিচরণ আর বাংলার মাটিতে আর বেশিদিন থাকা উচিত নয়। সে কারণে আমরা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে তার শাস্তি দাবি করছি এবং বিএনপি রাজনীতি, যে নিবন্ধন সেটি বাতিলের দাবি নিয়ে আমরা ইসিতে স্মারকলিপি দিয়ে গেলাম। আমরা তেমনিভাবে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়েও আমাদের অনুভূতির কথা জানিয়েছি। আশাকরি অবশ্যই বাংলার যুব সমাজের যে প্রত্যাশা, যা চাহিদা তারা তা পূরণ করবেন।
তিনি বলেন, স্মারকলিপি তারা গ্রহণ করেছেন এবং তা যাচাইবাছাই করে নিশ্চয় আমাদের জানাবেন। আমরা বাংলার জনগণের পক্ষ থেকে যে দাবি তুলে ধরলাম সে দাবির প্রতি তাদের কী নির্দেশনা আছে তার জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের মানুষ সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেশন জট নেই, বাতাসের বারুদের গন্ধ পাওয়া যায় না, এখন আর ঘুম থেকে ওঠেই শোনা যায় না যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মার কোল খালি হয়ে গেছে। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজমান ঠিক সেই সময় ৭১ এর পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী শক্তি, ৭৫ সালে হত্যাকারীদের সংগঠন এবং ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলার সংগঠন, আবার সেই তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারণে নয় বছরের সাজা পেয়েছে, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি একটি দলের ভাইস চেয়ারম্যান। এটি জাতির জন্য দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের যুব সমাজকে ভার্চুয়ালি বিভ্রান্তি করছে। তাদের সংগঠনকে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন। সম্প্রতি সে ঘোষণা দিয়েছে যে যদি একটি লাশ পড়ে নয়টি লাশ ফেলানোর জন্য। এমনি করে দেশটিতে সে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে চায়। কিছুদিন আগে ঢাকা শহরের প্রবেশ পথ অবরোধ করে তারা যেভাবে কর্মকাণ্ড করলেন, বাস পোড়ালেন, মানুষ মারলেন, পুলিশের ওপর হামলা করলেন, বিদেশিদের কাছে জানান দিতে চান বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। এখানে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না। বিষয়টি হলো বলছে চাচ্ছে বাংলাদেশ ধংস হয়ে যাক। পিছিয়ে পড়ুক। দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি তারা চায় না।