ঢাকাই সিনেমার তারকা পরীমণি। নিজের জীবনের আনন্দের মুহূর্তেগুলো উদযাপন করতে চান জাঁকজমক ভাবে। নিজের বিয়ে জন্মদিন যেকোনো সুখের মুহূর্তেই উদযাপন করেন এই নায়িকা। ছেলের শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্মের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন আর নিজের জন্মদিন পালন করবেন না তিনি।
গত বছর ১০ আগস্ট এই পরীমণির কোলজুড়ে আসে তাদের একমাত্র সন্তান রাজ্য। সন্তান জন্মের পর থেকে প্রতি মাসেই ছেলের জন্মদিন পালন করেছেন তিনি। দাম্পত্য টানাপোড়েনের কারণে আলাদা থাকছেন নায়িকার স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। তবে রাজ্য তার মায়ের সঙ্গেই থাকেন।
আগামী ১০ আগস্ট রাজ-পরীর ছেলের এক বছর পূর্ণ হবে। স্বাভাবিকভাবেই দিনটি ভীষণ আনন্দের চিত্রনায়িকা পরীমণির জন্য। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জমকালো আয়োজনেই রাজ্যর জন্মদিন পালন করতে চান তিনি। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে রাজ্যের জন্মদিনের অনুষ্ঠান হবে। এরই মধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে করেছেন নায়িকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরীমণি বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসেই বাবুর জন্মদিন পালন করেছি। কিন্তু বাবুর বয়স এক বছর পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। ১০ আগস্ট তা পূর্ণ হচ্ছে। এটি হবে তার সত্যিকারের প্রথম জন্মদিন পালন।
‘অনেক আগে থেকেই এই আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। যেহেতু রাজ্য ছোট, তাই খুব বড় করে প্রথম জন্মদিনের অনুষ্ঠান করছি না। পরিবারের লোকজন ও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী নিয়ে অনুষ্ঠানটি করব। তবে রাজ্য আরও বড় হলে বড় আয়োজনে করব।’
এদিকে ছেলের জন্মদিন যখন ঘনিয়ে আসছে, তখনো দেশের বাইরে বাবা রাজ। তাহলে কি বাবা ছাড়াই রাজ্যর প্রথম জন্মদিনের উদযাপন হতে চলেছে? পরীমনি জানান, রাজ্যর জন্মদিনের সব আয়োজন মা হিসেবে তাকে একাই করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘রাজের কোনো খবর নেই। অনেক আগে থেকেই আমি ও রাজ মিলে বাবুর প্রথম জন্মদিন পালনের ব্যাপারে কত পরিকল্পনা করেছিলাম। অথচ জন্মদিন পালনের আগে আগে এসে তাকে আর পেলাম না।
‘শুনেছি অনেক দিন হলো, দেশের বাইরে গেছে। এখনো সে ফেরেনি। অনুষ্ঠানের আর এক সপ্তাহ বাকি। অথচ বাবা হিসেবে রাজ কোনো দায়িত্বই পালন করল না। বিষয়টি দুঃখজনক। রাজ্য বড় হয়ে যখন জানতে পারবে, তার প্রথম জন্মদিনে বাবা পাশে ছিলেন না, রাজ্যর জন্য এটি কষ্টের হবে, দুঃখের হবে।’
আক্ষেপ নিয়ে পরীমণি বলেন, ‘ছেলের জন্মদিনের আয়োজনের জন্য বাবা হিসেবে একটাবার ফোন করে পরামর্শ দিতে পারত, করল না। দেশের বাইরে যাওয়ার পর আমিই নিজ থেকেই তাকে কয়েকবার ফোন করেছি। কিন্তু সে কোনো কল দেয়নি। শুনেছি তার স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেছে। কিন্তু তার আরেকটি ফোনও আছে। সেই নম্বরেও ফোন করেছি, ধরেনি। ফিরতি ফোনও করেনি। আর এখন আমি চাই না, রাজ আমার ছেলের জন্মদিনে আসুক।’