বর্তমান দেশী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির ‘হট কেক’ ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই সিনেমা মুক্তি উপলক্ষে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান কিং খান। সপ্তাহ দুই পরেই সন্তান জয়কে নিয়ে সেখানে হাজির নায়িকা।
এই দুই তারকাকে একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ঘোরাফেরাসহ ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও দেখা যায়। আর তারপরই ফের প্রশ্ন উঠে- তাহলে কি এক হচ্ছেন শাকিব-অপু? বেশ কিছুদিন ধরে শাকিব ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ইতিবাচক কথা বলে আসছেন তিনি। ভক্তরা বলছেন, হঠাৎ অপুর আচরণ এমন বদলে যাওয়ার কারণ কী?
গত ২৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন অপু বিশ্বাস ও ছেলে জয়। তারপর অপু সোজা চলে যান কলকাতা। ফের দেশে ফিরে আজ চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন তিনি।
তবে হঠাৎ আচরণ বদলে যাওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সঙ্গে অপু বিশ্বাস নিজেই কথা বলেছেন। অপুর কাছে সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ‘ইদানীং আপনি যেভাবে শাকিব খানকে নিয়ে ইতিবাচক কথা বলছেন, কিছুদিন আগে এভাবে বলতেন না। এই আপনিই কিছুদিন আগেও শাকিব খান ও তাঁর পরিবার নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক কথা বলেছেন?
জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘প্রথমেই বলব, আমার সঙ্গে শাকিবের দূরত্বটা মোটেও কাম্য ছিল না। এ জন্য শাকিবকে দায়ীও করব না। ওই সময়টায় আমি অপ্রস্তুত ছিলাম। ওই ধরনের অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে যেকোনো কিছু মোকাবিলা করা আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি অনেক কিছুই বুঝে উঠতেও পারিনি। অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলেছি। আমাকে যে পরে এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, তা কখনোই ভাবিনি। তাই হয়তো ঘরের কথা পরের মতো করে বলে ফেলেছি। একটা সময়ের পর এসব ভাবতে ভাবতে নিজের প্রতি নিজে অনেক কষ্ট পেয়েছি। লজ্জিতও হয়েছি। তখন আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়েও কোনো ভালো উক্তি করিনি।’
তার আচরণের জন্য শাকিবের বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান এই ঢালিউড চিত্রনায়িকা। তিনি মনে করেন, একজন তারকাশিল্পী হয়ে জনসমক্ষে এত কথা বলেছেন, তা ঠিক হয়নি। তার উপলব্ধি হয়েছে এবং তিনি একজন নায়িকা বলেই কথা দ্রুত ছড়ায়। সে সময় তিনি খেই হারিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন যা ঠিক ছিল না।
যার ফলে তিনি লজ্জিত উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষমাত্রই ভুল হয়। মানুষের বাইরে আমি নই, তাই আমিও ভুলের ঊর্ধ্বে নই। এখন আমার মনে হয়েছে, আমার যেসব ভুল হয়েছে, শাকিবের প্রতি যে অন্যায় আমি করেছি, তাঁর পরিবারের প্রতি যে অপবাদ দিয়েছি- তা আমি শোধরাতে চাই। শোধরাতে চাই বলে এখন সত্যি কথা বলছি, এখানে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই।’