আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। অবাক করা বিষয় হলো, গরিবে খাদ্য পাঙ্গাস মাছের দাম ছাড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগিকে। কমেছে কাঁচামরিচ ও পেয়াজের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম।
রবিবার (৩০ জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। সোনালী মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকা কেজি দরে।
কয়েক সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচ নিয়ে তুল কালাম কান্ড শুরু হলেও সেই কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
তবে, ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে মাছের দাম। বাজারে সবচেয়ে কম দামি মাছ পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়ার কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে। প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। বড় মানের রুই, কাতল ও কারফু মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
অপরদিকে, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। চিংড়ি মাছের সর্বনিম্ন দর ৬০০ টাকা। ভালো মানের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। টেংরা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি।
পৌর বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা আ. কাদের বলেন,আমার মেয়ে পাঙ্গাস খেতে খুব পছন্দ করে।কিন্তু পাঙ্গাস মাছ কিনতে গিয়ে দেখি মুরগির চেয়ে পাঙাশের দামই বেশি।
এছাড়াও বাজার করতে আসা সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা রায় মেঘলা ও রিনাত আশরাফ রিম বলেন,আজ বাজারে বড় পাঙ্গাস মাছ কিনলাম ১৮০ টাকা কেজি দরে। অথচ এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫০ টাকা কেজি।
কথা হয় মাছ বিক্রেতা রেজাউল করিমের সাথে তিনি বলেন, কাচামাল আমদানির উপর নির্ভরশীল আমদানি বেশি হলেই দাম কম আর আমদানী কম হলেই দাম বেশি হয়।কয়েকদিন থেকে আমদানি কম থাকায় সব মাছের দামই বেশি যাচ্ছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
এসএইচ