আজকাল ক্ষোভ ও আনন্দ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যম। এখানে রাগ, উচ্ছ্বাস ঝেড়ে হালকা হন নেটিজেনরা। আলোচিত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ পাইরেসির কবলে পড়ার পরও এমন ঘটনা ঘটেছে। ছবিটির অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা নিজেদের ক্ষোভ মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নেটদুনিয়ায়।
তবে বিষয়টি পছন্দ হয়নি ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রিয়তমা’ ছবির নির্মাতা হিমেল আশরাফের। তিনি মনে করছেন পাইরেসি প্রসঙ্গে নেটদুনিয়ায় কথা না বলে আইনের আশ্রয় নেওয়াই ভালো। এ প্রসঙ্গে ‘বেমানান’ একটি উদাহরণ দিয়ে নিজের ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সিনেমা পাইরেসিকে অন্যের হাত ধরে নিজের স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করে হিমেল আশরাফ লিখেছেন, ‘সিনেমা পাইরেসিকে অনেকটা নিজের বউ অন্যের সাথে ভেগে যাওয়ার মতো। নিজের বউ অন্যের সাথে ভেগে গেলে আমি কী করব? ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেব? পাড়া-প্রতিবেশী বা আত্নীয় স্বজন কেন স্ট্যাটাস দিল না বা প্রতিবাদ করল না সেটা নিয়ে অভিযোগ করব? নাকি আইনের আশ্রয় নেব? নাকি যার সাথে বউ ভাগল তারকে খুঁজব, নাকি কেন ভাগল, আমার কতটুকু ভুল ছিল, বউয়ের কতটুকু দোষ ছিল তা যাচাই-বাছাই করব?’
এরপর তিনি লেখেন, “তবে কেউ যদি বউ চলে গেলে খুশি হয় তাহলে আলাদা কথা! অন্যকে দোষ দেওয়ার আগে নিজের দিকে তাকানো উচিত। নিজের ভুল ত্রুটি খোঁজা উচিত। ‘প্রিয়তমা’ পাইরেসি হলে সেটা আমাদের ব্যর্থতা, সেটার জন্য কাউকে দোষী বলা কাপুরুষতা। পাইরেসি হলে তার জন্য আইন আছে, র্যবের একটা টাস্কফোর্স আছে, সাইবার ক্রাইম আছে। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পাইরেসি হয়েছে জানায় মার্কেটিং করা এটার সমাধান করে না, সমস্যা বাড়ায়।”
সবেশেষে এ নির্মাতা লিখেছেন, ‘আমাকে অনেকেই ইনবক্স করছেন পাইরেসি নিয়ে কেন আমি প্রতিবাদ করছি না। কিছু কিছু বিপদে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ বা সহমর্মিতা কোনটাই জানাতে হয় না। পারলে উপকার করতে হয় অথবা চুপ থাকতে হয়। নইলে কাটা ঘায়ে নূনের ছিটাও লাগে। সব রোগের এক ওষুধ না।’
পাইরেসির কবলে পড়া ‘সুড়ঙ্গ’মুক্তি পেয়েছে ঈদে। এ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয়েছে আফরান নিশোর। ‘সুড়ঙ্গে’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন তিনি। এখানে তার বিপরীতে আছেন তমা মির্জা। ছবিটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফী।