কার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন, নাম প্রকাশ করলেন কাজী মারুফ

কাজী মারুফ এখন দেশে আসেন কালে ভদ্রে। অথচ একটা সময় গেছে এফডিসি চষে বেড়িয়েছেন তিনি। শুটিং নিয়ে এফডিসির এ ফ্লোর ও ফ্লোর সাভার-গাজীপুর ঘুরেছেন। সেই মারুফ আজ শুটিং করছেন না। স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শুরু করেন বসবাস।

কিন্তু মাতৃভূমি ছেড়ে কেন দূর প্রবাসে বসবাস শুরু করলেন, কেন সিনেমা ছাড়লেন—এসব প্রশ্ন অনেকের। সম্প্রতি এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন কাজী মারুফ।

আলাপকালে দেশের বাইরে যাওয়া সম্পর্কে কাজী মারুফ বলেন, একটা সময় যখন কাজ থাকবে না তখন কী করবে একজন শিল্পী? যাদের উপায় থাকে তারা বাইরে গিয়ে সেটেলড হয়। শুধু আমাদের এই দেশের কথা কেন, ভারতে দেখেন। পার্শ্ববর্তী দেশ, অক্ষয় কুমার ছিলেন কানাডিয়ান নাগরিক। প্রীতি জিনতা, মাধুরী দীক্ষিত আমেরিকায় ছিলেন।

তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা হয় না। ভারত অনেক বড় দেশ, আমার দেশ ছোট। তারপরও যেভাবে আছি খারাপ না।

এছাড়া সিনেমা ছাড়ার কারণ হিসেবে কাজী মারুফ বলেন, জাজ মাল্টিমিডিয়া আমার একটি সিনেমার ক্ষতি করেছিল। তখন তাদের দৌরাত্ম্য ছিল। তারাই সিনেমা নির্মাণ করছিল। ডিরেক্ট বলছি, তাদের কারণে একটি সিনেমায় ভালো ক্ষতি হয়েছে আমার। ক্রিকেট খেলার মাঝে সিনেমা মুক্তি দিতে হয়েছে। এটাই সত্যি কথা।

তিনি ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির অন্য কোনো শিল্পী প্রতিষ্ঠানটির কারণে ক্ষতির শিকার হয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হয় নায়কের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, অন্যদের ব্যাপারে জানি না। তবে আমি ভুক্তভোগী। এ জন্য আব্বু সেই সময় বলেছিল চলে যাও আমেরিকা। এরপর চলে যাই।

প্রসঙ্গত, কাজী মারুফ চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন ‘ইতিহাস’ সিনেমার মাধ্যমে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত এই চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ২০০২ সালে। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেই তার হাতে ওঠে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বেশকিছু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ। এর মধ্যে রয়েছে- ‘অন্ধকার’, ‘রাস্তার ছেলে’, ‘বস্তির ছেলে কোটিপতি’, ‘দারোয়ানের ছেলে’, ‘দেহরক্ষী’, ‘ইভটিজিং’, ‘সর্বনাশা ই য়াবা’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *