দুর্বৃত্তদের মারধরে আহত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি রাজধানীর রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচনে হিরো আলমের প্রধান সমন্বয়ক মো. ইলিয়াস।
তিনি বলেন, আমরা সারাদিন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয় হিরো আলমকে। চিকিৎসা চলছে। পরে সব কিছু জানা যাবে।
জানা গেছে, বনানী বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে বিকেল ৩টা ১৮ মিনিটে প্রবেশ করেন হিরো আলম। এ সময় সঙ্গে ছিল তার সমর্থকরাও। নৌকা প্রার্থী আরাফাতের সমর্থকরা তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। এরপর হিরো আলম কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের ভবনের একটি কক্ষে ঢুকতে যান। তখন নৌকার সমর্থকরা তাকে গালাগালি শুরু করেন। তাদের মধ্য থেকে একজন হিরো আলমে ধাক্কা দেন। এতে হিরো আলম ক্ষেপে যান এবং সেই যুবকের দিকে তেড়ে যান।
এই অবস্থা দেখে উপস্থিত আনসার ও পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এক পুলিশ সদস্য হিরো আলমকে রক্ষা করে গেটের দিকে নিয়ে যায়। গেট থেকে বের হওয়া মাত্র নৌকার সমর্থকরা তাকে ধাওয়া দেন এবং মারধর শুরু করেন। তাদের মারধরের মাটিতে পড়ে যান হিরো আলম। এ সময় প্রায় ৫০ জনের বেশি যুবক ৩০ সেকেন্ড ধরে তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। হিরো আলমের সমর্থকরা তাকে দ্রুত তুলে নিয়ে দৌড় দিলে নৌকার সমর্থকরা তাদোর পেছন পেছন যায় এবং তাদের আবারও আরেক দফা হামলা করে। বারবার হামলার এক পর্যায়ে হিরো আলমের সমর্থকরা দ্রুত বনানীর দিকে চলে যান।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন, তারা হিরো আলমকে মারপিটের ঘটনায় জড়িত নন। তারা আরও দাবি করেন, যারা হিরো আলমের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা অতি উৎসাহী।
দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক মিয়াজী বলেন, আমরা হিরো আলমকে উদ্ধার করে তাকে ঘটনাস্থল থেকে বের হতে সহায়তা করেছি।
এ্রর আগে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও মারধরের শিকার হয়েছিলেন হিরো আলম। সেবার তিনি বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু মারধরের শিকার হয়ে সে সময় ভোট বর্জন করেছিলেন।