নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতে দিন কাটছে খালেদা জিয়ার

নজর২৪ ডেস্ক- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

 

গুলশানের বাসায় সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজের মাধ্যমেই দিন শুরু হয় তার। ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তেলাওয়াত করেন তিনি। দিনের বেশি সময় বই, পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে খবর দেখে সময় কাটে তার। এছাড়াও দলীয় সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও দেশবাসীর খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিএনপি নেত্রী।

 

এছাড়াও খালেদা জিয়া নিয়মিত পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। লন্ডনে অবস্থানরত তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং নাতনি জাইমা রহমানের সাথে ফোনে সব সময় কথাবার্তা বলে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গেও প্রতিদিন কথা বলেন বেগম জিয়া।

 

জানা গেছে, বেগম জিয়ার ছেলে এবং পুত্রবধূ লন্ডনে থাকার সুবাদে লন্ডনের সময়ের সাথে মিল করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয় সেজন্য বেশি রাত করে ঘুমাতে হয় তার।

 

করোনার মধ্যে আত্মীয়দের সান্নিধ্যে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার। প্রায় প্রতিদিনই বিকাল বা সন্ধ্যায় ফিরোজায় যান বোন সেলিমা ইসলাম, ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। মাঝেমধ্যে যান ভাতিজা শাফিন এস্কান্দার ও তার স্ত্রী অরনী এস্কান্দার, ভাতিজা অভিক এস্কান্দার ও ভাগ্নে শাহরিয়া হক। তবে কোনো আত্মীয়-স্বজন গুলশানে ফিরোজায় রাতযাপন করেন না।

 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা প্রতিদিন তার সাথে দেখা করেন এবং তার শারীরিক খোঁজখবর নেন। এছাড়া খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন ব্যক্তিগত নার্স ও তাঁর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা। এছাড়া তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডনে বসে প্রতিনিয়ত খালেদা জিয়াকে তার স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেন।

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৭৯ নম্বর সড়কের ওই বাসা থেকে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই দিনই সেই আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান।

 

দুর্নীতির দায়ে ২ বছর ১ মাস ১৭ দিন সাজা ভোগের পর ‘মানবিক বিবেচনায়’ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া।

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *