শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন চাই

শেখ রাসেল, বাগেরহাটে জেলা প্রতিনিধি: মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার আলোকে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন চাই। আমদানিকৃত এলএনজি আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত, মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত ’মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’য় ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুলাই) সকালে মোংলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে মোংলা নাগরিক সমাজ, ক্লিন ও বিডাব্লিউজিইডি আয়োজিত কলেজ পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তারা একথা বলেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মল্লিক অহিদুজ্জামান। বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আবু সাইদ খান ও ক্লিন খুলনার ক্যাম্পেইন সমন্বয়কারী বাহালুল আলম। বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজ’র সমন্বয়কারী সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ বলেন, পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে জলবায়ু সহিষ্ণু উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ’মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তা মোংলা নাগরিক সমাজ’র সমন্বয়কারী মো. নূর আলম শেখ জাইকার অর্থায়নে জাপানি প্রতিষ্ঠান আইইইজে প্রণীত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী খসড়া সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা বাতিলের দাবী জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা ’মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। উদ্বোধনী পর্ব শেষে ”এলএনজি নয় শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন; জ্বালানি নিরাপত্তার একমাত্র গ্যারান্টি” বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়ের পক্ষে মোংলা সরকারি কলেজ এবং বিষয়ের বিপক্ষে সরকারি টি এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশনেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার সঞ্চালনায় করেন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক এস এম মাহবুবুর রহমান, বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জেম্স শরৎ কর্মকার, মোংলা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশ হালদার ও উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব মো. হারুন গাজী। মোংলা সরকারি কলেজের হয়ে বিতর্কে অংশনেন রাজিয়া মনি তামিমা (দলনেতা), মো. জুবায়ের হোসেন অভি ও স্বর্ণা শিকদার। সরকারি টি এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজের হয়ে বিতর্কে অংশনেন ফারজানা আক্তার (দলনেতা), ইরানী বিশ্বাস ও মোসাঃ কারিমা আক্তার। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পক্ষ দল মোংলা সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। বিতর্ক শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ।

এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *