আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সারা দেশেই গন পরিবহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যেন ভোগান্তির আরেক নাম।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চারলেনের সুবিধা ভোগ করলেও এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত এই ১৩ কিলোমিটার সড়কেই যেন সকল বিপত্তি। দুইলেনের এই সড়ক প্রশাসন একলেন করলেও রাতভর যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রী ও চালকদের। ভোর হওয়ার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধীর গতিতে চলতে থাকে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যান চলাচল।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহসড়কের হাতিয়া হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলছে থেমে থেমে। এরআগে সোমবার (২৬) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধুসেতু উপর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার অংশে যানজট লেগেছিল।
সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর পরিবহন দুর্ঘটনা, হঠাৎ বিকল ও আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সেতুতে পরিবহনের চাপ ও যানজটের কারণে টোল আদায় বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, সোমবার রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর পরপর দুই বার একটি পরিবহনের সাথে আরেকটি পরিবহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও একটি পরিবহন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে রাত তিনটার পর ১০ থেকে ১২ মিনিট, চারটার পর প্রায় এক ঘন্টা ও ৫ টা ৩০ মিনিট থেকে ৫ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। মাঝে মাঝে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ হওয়ার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে মহাসড়কের পরিবহনগুলো ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করায় বিভিন্ন অংশে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়কের কালিহাতী উপজেলা কুচটি হতে এলেঙ্গা রেলক্রসিং, বঙ্গবন্ধু সেতুপুর্ব গোল চত্ত্বর হতে গোবিন্দাসী পর্যন্ত ধীরগতিতে পরিবহন চলাচল করছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, রাতে মহাসড়কে এলেঙ্গা হতে সেতুপুর্ব পর্যন্ত যানজট ছিল। সকালের দিকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে এখনও সল্লা হতে সেতু পূর্ব পর্যন্ত পরিবহনের ধীরগতিতে চলাচল করছে। এরআগে রাতে সেতুর উপর পরিবহনের দুর্ঘটনা ও টোল আদায় বন্ধের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ সড়কে দায়িত্ব পালন করছেজ। গাড়ির টান শুরু হয়েছে আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।