ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়ক, ড্যাশিং হিরো কিংবদন্তি অভিনেতা সোহেল রানা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ এর প্রযোজক ছিলেন সোহেল রানা। পরে নায়ক খ্যাতির আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় প্রযোজক পরিচয়। তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
চিত্রনায়ক মাসুদ রানার সময়ে শোবিজের নায়ক নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন ও ঘর সংসারের খবর প্রকাশ পেত না বা গণমাধ্যমকর্মীরাও তাদের এমন খবর প্রকাশ করতো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে তারকাদের ব্যক্তিগত নানা বিষয় হর হামেশাই প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে নানা সময়ে সমালোচনার টেবিলে থাকেন তারা।
এ নিয়ে কিংবদন্তী নায়ক সোহেল রানা সংবাদকর্মীদের দায়ী করেন। সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটার জন্য দায়ী তোমরা। কেন তাদের নেগেটিভ সাইট এবং ঘর-সংসার নিয়ে কথা বলছো? আমাদের ঘর সংসার নিয়ে তো জিজ্ঞেস করোনি কখনো? হ্যা তোমরা বলতে পার মানুষ যেহেতু চায় এটা তাই তোমরা দিচ্ছ। মানুষের চরিত্র, রুচি খারাপ হয়ে গেছে ভাল খবর তারা পড়ে না। সেসব পড়তে বা শুনতেও ভাল লাগে না। সেসব নিউজ তারা পড়ে যেগুলোতে একটু মজা পায়। যেখানে অন্যের বদনাম বা সমালোচনাা যেসব নিউজে আসে সেসব নিউজ আমরা বেশি পড়ি। আর সেগুলোই তোমরা সাপ্লাই কর। তোমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে তোমরা সে দায়িত্ব পালন করছো না। পাঠক বা দর্শকে তোমরা যা দিবে তাই তারা দেখবে। তোমরাই তো দিচ্ছ না সঠিকভাবে। তোমরা বিয়ের বা ঘরের খবর নিতে যাও কেন?
তাদের ব্যক্তিগত জীবন তারাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমে তারাই শেয়ার করে প্রশ্নে এই চিত্রনায়ক আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমতো একটা মিডিয়া। আমি সবাইকে বলছি। যারা এসব শেয়ার করে তারাই তো নেগেটিভ। তারা মানুষ ভাল না।’