নিপুণ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে অনেকটা: জায়েদ খান

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াইয়ের পর থেকেই দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তাদের সেই লড়াই গড়ায় আদালত পর্যন্ত।

একপর্যায়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করায় গত ২ এপ্রিল জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। এরপর থেকেই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন নিপুণ।

এ ঘটনার পরে বিভিন্ন সময় একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে গেছেন। সবশেষ নিপুণের জন্মদিনে এই নায়িকাকে ‘অনির্বাচিত’ বলে কটাক্ষ করেন জায়েদ।

এরই জবাবে সম্প্রতি জায়েদকে নিয়ে ফের মন্তব্য করেছেন নিপুণ। যেখানে এই নায়িকা দাবি করেছেন, জায়েদের কারণে বাংলাদেশ ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে পারেনি। তিনি বাংলাদেশকে ডুবিয়েছেন।

মূলত ভিসা জটিলতার কারণে এই উৎসবে যেতে পারেননি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সে দলেই ছিলেন জায়েদ ও নিপুণ। কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ফরাসি দূতাবাস থেকে ভিসা না দেওয়া কারণ হিসেবে ‘সময় স্বল্পতার’ কথা বলা হয়েছিল তখন।

গত সোমবার ঢাকার ফিল্ম আর্কাইভের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ। সেখানে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

এসময় নিপুণ সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, কান উৎসবে যেতে জায়েদ খানের ভিসা না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করতে। তিনি বলেন, ‘জায়েদ খানকে ফ্রান্সের ভিসা দেয়নি- এই প্রশ্ন করেন না কেন? এই প্রশ্ন করুন, উত্তর দেব।’

এক পর্যায়ে নিপুণ বলেন, ‘জায়েদ বাংলাদেশকে ডুবাইছে। এত বড় আয়োজন, জিও থাকা ও প্রধানমন্ত্রীর সাইনের পরেও শুধু জায়েদ থাকার কারণে আমাদের এমডি ভিসা পাননি।’

এদিকে নিপুণের বক্তবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হয় জায়েদ খানের সঙ্গে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি কীভাবে বাংলাদেশ ডোবালাম? কান উৎসবে আমার নেগেটিভ কিছু থাকলে সরকার আমাকে জিও করে দিত না। আমার কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সিগনেচার হয়েছে। আমরা দুদিন বাকি থাকতে পেপারস জমা দিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল শর্ট টাইম। নিপুণ শুধু আমাকে নয়, ফ্রান্স অ্যামবাসিকেও ছোট করেছে। পেপারস জমা দিলাম পাঁচজন। তাদের মধ্যে এফডিসির এমডি আছেন, আরও দুজন ডিরেক্টর। তাদের হচ্ছে ডিপ্লোম্যাট পাসপোর্ট। তাদের দিত, আমাকে বাদ দিয়ে দিলেই তো হতো। এটা তো ইন্ডিভিজ্যুয়াল ভিসা। তাহলে অন্যদের ভিসা দিল না কেন?

জায়েদ খান আরও বলেন, নিপুণের কথা হলো পাগলের প্রলাপ। কেউ ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলে যা খুশি বলতে পারে। একটা মানুষ ভোটে না জিতে অন্যায়ভাবে বসলে যা হয় আরকি। এরা পাগলের প্রলাপ বকবে। এরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে অনেকটা। তার মুখ থেকে তো অবৈধ জিনিসই বেরোবে। এটাই তো নিয়ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *