৪ দিনে ভাতের ফ্যান গলাতে শিখেছি: স্বস্তিকা মুখার্জি

ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। স্বভাবে ঠোঁটকাটা, তাই কোনো কথাই মুখে আটকায় না তার। সাহসী রূপে পর্দায় হাজির হয়েও বহুবার আলোচনায় উঠে এসেছেন। সমকালীন নানা বিষয় নিয়েও কথা বলে থাকেন; এজন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন এই অভিনেত্রী।

ব্যক্তিগত জীবনে স্বস্তিকা একা। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেছেন। স্বস্তিকা অভিনীত ‘শিবপুর’ সিনেমা খুব শিগগির মুক্তি পাবে। এ সিনেমায় মন্দিরা নামে এক গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু বাস্তব জীবনে ঘর-গৃহস্থালির কাজও কি করতে পারেন স্বস্তিকা? এসব বিষয় নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

অবসরে বাড়িতে রান্না করেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘আমি একেবারেই রান্না করতে পারি না। অবশ্য, লকডাউনে বেশকিছু রান্না করেছিলাম। এর মধ্যে হলো— রুই মাছের কালিয়া, সর্ষে বাটা দিয়ে পমফ্রেড, মুরগীর ঝোল, পাঁঠার মাংস। লকডাউনে আমি প্রথম ভাতের ফ্যান গলাতে শিখেছি। সেটাও আবার ৪ দিন সমস্ত ভাত বেসিনে পড়ে একাকার কাণ্ড ঘটেছিল। পরে সেটা ছাকনি দিয়ে ছেঁকে ম্যানেজ করি, সেটাও একটা যুদ্ধ ছিল।’

বাসন মাজা স্বস্তিকার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘লকডাউনে আমি বুঝেছি, আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ বাসন মাজা। ক্যারিয়ারে যখন আর কিছু করতে পারব না, তখন বাসন মাজব। খুবই দামী ঠিকের কাজ করব। ঘর ঝাঁট দেওয়া, ঘর মোছা, জামাকাপড় কাচা সবই করেছি। কারণ মুম্বাইয়ের বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন ছিল না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *