ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা রোজিনা পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ফিরে দেখা’ গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ঢাকাসহ সারাদেশে। পরিচালনার পাশাপাশি এ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোজিনা।
‘ফিরে দেখা’ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরেছেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন নিরব, স্পর্শিয়া প্রমুখ। মুক্তিযুদ্বের সিনেমা ‘ফিরে দেখা’ সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে। ২২টি হলে দর্শকরা সিনেমাটি দেখতে পাবেন। নতুন এই সিনেমা নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রোজিনা।
দর্শকের পাশে বসে নিজের পরিচালিত সিনেমা দেখার অনুভূতি কেমন ছিল?
এই অনুভূতি কোনোভাবেই বলে বোঝানো যাবে না। সিনেমাটি মুক্তির দিন যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে দেখেছি। খেয়াল করেছি, অনেকে মুগ্ধ হয়ে সিনেমাটি দেখছেন। নিজ হাতে বানানো সিনেমা পর্দায় বসে দেখতে পাচ্ছি, দর্শক সেই সিনেমা নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন, কেউ কেউ তালি দিয়েছেন, অনেকের চোখ ছিল ছলছল– এই দৃশ্য কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। আমার খুবই আগ্রহ, সিনেমা দেখার পর দর্শকের কী প্রতিক্রিয়া হয়– তা জানার। এ কারণে ব্লকবাস্টার সিনেমাস থেকে বেরিয়ে চিত্রামহলসহ কয়েকটি হলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, বৃষ্টির কারণে যেতে পারিনি।
অনুদানের এ সিনেমা দর্শকের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করবে বলে আপনার মনে হয়?
আগে নাটক, টেলিছবি পরিচালনা করেছি। দর্শক কী চায়– তা ভালোই জানি। সেভাবেই সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। কাহিনি ও নির্মাণে নতুনত্ব তুলে ধরার চেষ্টা ছিল। একই সঙ্গে আমরা যারা শিল্পী ও অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, সবারই চেষ্টা ছিল নিজেদের সেরাটি তুলে ধরার। কারণ, শুরু থেকে একটা কথাই আমাদের মাথায় রাখতে হয়েছে, তা হলো দর্শকই সিনেমার প্রাণ। তাঁদের আনন্দ দিতেই আমাদের এত শ্রম-ঘাম ঝরানো প্রচেষ্টা। এটি মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সিনেমা। এ ধরনের সিনেমা দর্শক পছন্দ করেন। আশা করছি, তাঁরা সিনেমা দেখে নিরাশ হবেন না।
পরিচালনায় অভিষেক হলো, এখন নিশ্চয় বড় পর্দায় নিয়মিত কাজ করতে দেখা যাবে?
আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। দর্শক চাইলে তো আর বসে থাকার উপায় নেই। তাঁদের ভালোবাসা পেলে সিনেমায় নিয়মিত কাজ করব। সবকিছুই নির্ভর করছে দর্শকের ওপর। প্রথম সিনেমায় যা দেখাতে পারিনি, তা পরবর্তী সিনেমাগুলোয় তুলে ধরার চেষ্টা করব। অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। নির্মাতা হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব। আপাতত এটাই আমার ভাবনা। ভবিষ্যতে আরও ভালো গল্প নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।