গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলের আগেই আজমত উল্লাকে জয়ী ঘোষণা করে অভিনন্দন জানিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। পোস্টটি প্রকাশের পর থেকেই বিরূপ মন্তব্যে ছেয়ে যায় কমেন্টবক্স। অবশেষে হারের পর দুঃখ প্রকাশ করে নিজের সেই পোস্ট ডিলিট করলেন তিনি।
অবস্থান পরিষ্কার করতে একটি পত্রিকার ছবি দিয়ে নতুন করে স্ট্যাটাস দেন এই নেতা। লেখেন, ‘এমন বেশ কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ার নিউজ দেখে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা দলীয় প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। পরে প্রকৃত তথ্য পেয়ে স্ট্যাটাসটি ডিলিট করেছি। আমার আরও ভালোভাবে খোঁজ খবর নিয়ে, ভেরিফাই করে পোস্ট করা উচিত ছিলো। অনভিপ্রেত ভুলের জন্য আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করছি।
তবে, আজ বেশ উপলব্ধি হলো- দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, সবার উপর অর্থ বড়!
গাজীপুরে প্রতিটা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ৩/৪ জন প্রার্থী, নিজের নির্বাচন বা মার্কার পক্ষে যে এফোর্ট দিয়েছে, তার কিয়দাংশও নৌকার জন্য করলে ফলাফল এমন হতো না!
ভয়েজ রেকর্ডসহ একাধিক দালিলিক প্রমাণ রয়েছে, নৌকার দায়িত্বশীল বহুজন রাতের আধারে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে, বুকে নৌকার ব্যাচ লাগিয়ে গোপনে ঘড়ির জন্য কাজ করেছে!
ফের প্রমাণিত- এদেশে শিক্ষিত, আদর্শবান, সৎ ও ভালো মানুষের দাম নাই; সততা, নীতি, আদর্শ কেবল মুখে আছে, বুকে নাই!’ তবে রাব্বানীর নতুন এ পোস্টেও আসছে বিরূপ মন্তব্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘দেশের বৃহত্তম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মুজিব আদর্শের জয়; পুষ্পিত শুভেচ্ছা-অভিনন্দন আইন বিভাগের শ্রদ্ধাভাজন অগ্রজ অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ভাই।’
তিনি যখন এই পোস্ট দেন তখন পর্যন্ত ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১৮০টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সে সময় পর্যন্তও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন এগিয়ে ছিলেন।