তৌফিকুর রহমান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহা সচিব, টাঙ্গাইল ২ (গোপালপুর ভূঞাপুর) আসনের এমপি ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ধর্ষন মামলায় জেল হাজতে।
এই ঘটনায় সোমবার (১৫ মে) বিকালে ভুঞাপুরে মিষ্টি বিতরণ ও সন্ধায় আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর কিশোরী ধর্ষণ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
সোমবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল মহসীন এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে এই মামলার আসামি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির আদালতে আত্মসমর্পন করেন ও জামিনের আবেদন করেন। গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল মহসীন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালত থেকে দুই সপ্তাহের জামিন পান। পরবর্তীতে চেম্বার আদালত বড় মনির জামিন স্থগিত করে ১৪ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
বড় মনির কে জেল হাজতে প্রেরণ করার এই খবর ভূঞাপুরে ছড়িয়ে পরলে ভূঞাপুরের সচেতন সমাজ মিষ্টি বিতরণ করে ও আনন্দ মিছিল করে। মিছিলের শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা বড় মনির ছবিতে জুতাপেটা ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, গোলাম কিবরিয়া বড় মনির এর আগেও অনেক অপকর্ম করেছে। অবিলম্বে তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ওই কিশোরী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়। এদিকে অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড। এছাড়া ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসএইচ