সর্বশেষ সংবাদ

কক্সবাজার থেকে ৩৫০ কিমি দূরে ‘মোখা’, আঘাত হানতে পারে দুপুরে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৮ কিলোমিটার গতিতে উৎপত্তিস্থল থেকে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে। আজ রোববার (১৪ মে) ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ২৪ নম্বর বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৭৫০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্বে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম উপকূল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে থেকে ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, আজ দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে। সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ১৮০ থেকে সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আট নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো আট নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস এবং ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা তার বেশি) বৃষ্টিপাত হতে পারে। অতিভারি বর্ষণের ফলে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

যানবাহন চলাচলা না করায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে: রিয়াজ

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাড়ছে হরতাল অবরোধ। এতে করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানবাহনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগুন সন্ত্রাসের...

সারাদেশে তাপমাত্রা কমে শীত আরও বাড়বে

সারা দেশে এখনো শীত জেঁকে বসেনি। তবে প্রতিদিনই একটু একটু করে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ রোববার দেশের তাপমাত্রা আরও কমছে। এতে করে শনিবারের চেয়ে...

সেরা পঠিত