গত বছরের ডিসেম্বর চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, ইন্ডাস্ট্রির সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে তার অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা। তার দাবি, নানা সময়ে ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির শিকারও হয়েছেন তিনি।
এরপর দীঘি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে সঙ্গে কথা বলার সময় পরিচালক রায়হান রাফি দীঘির শারীরিক গঠন নিয়ে সমালোচনা করেন। সেই সময় দীঘির ভক্ত ও নেটিজেনরা বিষয়টিকে বডি শেমিং হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
এরপর থেকেই দীঘি ওজন কমানোর মিশনে নামেন। গত ৮ মাস ধরে ওজন কমাচ্ছেন তিনি। অবশেষে সফল হয়েছেন নায়িকা। ৮ মাসে ৬১ কেজি থেকে এখন ৫২ কেজি ওজনে নিজের শরীরকে রুপান্তর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ‘গত ৮ মাস আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। জীবনের উত্থান-পতন, ঘুমহীন রাত, হৃদয়ভাঙা, বিশ্বাসঘাতকতা, কটুক্তি, বডি শেমিংসহ আরও অনেককিছু। আর এখন সেই আমি একই ব্যক্তি, যে নিজেকে আরও শক্তিশালী প্রমাণ করার পরেও সবার ভালোবাসা পাচ্ছি।’
দীঘি বলেন, নিজের জন্য কখনই হতাশ বোধ করিনি এবং নিজেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালবেসেছি এবং প্রতিটি উপায়ে আমি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করছি।
দীঘি জানান, তিনি যা করতে ভালোবাসেন তাই করেন। বলেন, আমার ভালোবাসার কাজগুলো করার জন্য কখনো অনুশোচনা করি না। দীঘি তার পোস্ট দিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন তাদের, যারা প্রত্যেক ক্ষেত্রে পাশে থেকে তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। সবার জন্য আমার আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা।
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ছোটবেলায় বাবার কাছে ময়না পাখির নাম ধরে ডাকার সংলাপ বলে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিলেন। সেই সাড়া এতটাই ছিল যে নিজের প্রথম ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমায় অভিনয় করে দীঘি জিতে নিয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সময়টা ২০০৬ সাল।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেই দীঘির নামের আগে ‘নায়িকা’ তকমা লেগেছে গত বছরের মার্চে। মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছো তুমি নেই’। এর পর ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ শিরোনামে আরও একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে দীঘির। বর্তমানে হাতে আছে বেশকিছু সিনেমা ও ওয়েব ফিল্ম।