চিনির বাজারে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই চিনির দাম বাড়াল সরকার। খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ১৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ১৬ টাকা বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি। প্রতিকেজি পরিশোধিত খোলা চিনি বিক্রি হবে ১২০ টাকায়, যা আগে ছিল ১০৪ টাকা। আর প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির দাম কেজি প্রতি ১০৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি হওয়া, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া ও দেশে বাড়তি পরিবহন খরচের জন্য চিনির দাম বাড়ছে। তাছাড়া চিনির একটু ঘাটতি আছে বলে খবর পেয়েছি।
সচিব বলেন, চিনির জন্য শুল্ক কমানো হয়েছে। কমানোর পরও দাম অতটা কমানো যাচ্ছে না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে ডলারের দামও। এ ছাড়া দেশের মধ্যে পরিবহন খরচও কিছু বেড়ে গেছে। এর কারণেই দামে প্রভাব পড়ছে। তবে এ বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেখছে।
চিনির জন্য যে ট্যারিফ হার কমানো হয়েছে, সেটি ৩১শে মে পর্যন্ত বহাল আছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘ট্যারিফ হার আরও কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি দেয়া হবে। কারণ, গত বছরের তুলনায় চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে।
বিশ্বে চিনির অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক ভারতসহ অন্যান্য দেশে উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিশ্ব বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে চিনি।
দেশের চিনির চাহিদার প্রায় পুরোটাই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দেশের চিনি আমদানি ও শোধনকারীরা গত মাসেই চিনির দাম বাড়াতে চেয়েছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়ার হিসাবে আমদানি ব্যয় বিশ্লেষণ করে।
বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, তারা চিনির দাম কেজি প্রতি ১৬ টাকা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।