সাইফুল ইসলাম মুকুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এশিয়ান টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি বাদশাহ ওসমানীসহ চার সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চল্লিশ সাল চর সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত অন্যরা হলেন- সাংবাদিক একেএম সুমন মিয়া, এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরপার্সন আরিফুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম।
বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এশিয়ান টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রধান বাদশাহ ওসমানী। আহত অন্য সাংবাদিকরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক বাদশাহ ওসমানী বাদী হয়ে হামলাকারী লুলু মিয়া ও তার ছেলে রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর চরে চাষ হওয়া ভুট্টার ফলনের সচিত্র প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে যান বাদশাহ ওসমানীসহ আরও চার সাংবাদিক। সেখান ভিডিও ধারণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে ফেরার সময় চল্লিশ সাল চর সংলগ্ন এলাকায় লুলু মিয়া ও তার ছেলে রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পেছন দিক হতে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে আহত করার পাশাপাশি ব্যবহৃত ক্যামেরা, লাইভ ডিভাইস ও ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন ভাঙচুর করে তা ছিনিয়ে নেয়। একইসঙ্গে ওই এলাকায় আবার তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে তাদের সবাইকে জীবননাশের হুমকিও দেন হামলাকারীরা।
এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। একইসঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে রংপুরের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বুধবার রাতেই লুলু মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এসএইচ