তীব্র তাপপ্রবাহে প্রচণ্ড গরমে চুয়াডাঙ্গায় জনজীবনে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতা আরও বেড়েছে। দাবদাহের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে এই জেলা।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকালও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়েছিল এই জেলায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২ এপ্রিল থেকে টানা ১১ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ জেলায়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ। এটি এই জেলার এই মৌসুমেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
জামিনুর রহমান আরও বলেন, আগামী এক সপ্তাহের পূর্বাভাসে কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখতে পারছি না। যার কারণে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। এ জেলায় চলমান তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে অতীতের রেকর্ড ভাঙতে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় যেভাবে তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙছে তাতে আগামী দিনে সেই রেকর্ড ভাঙতে পারে।
২০২২ সালে ২৪ ও ২৫ এপ্রিল বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল যশোরে ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা ছিল তার আগের সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তার আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। একই বছর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রিতে উঠেছিল।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়।
গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল।