বেরোবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরির টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ

সাইফুল ইসলাম মুকুল, রংপুর ব্যুরো- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বরাদ্দ দেওয়া ১০ লাখ টাকা ব্যয় নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

 

অভিযোগ রয়েছে, ম্যুরালটি তৈরি করতে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাজ শেষ না হলেও ম্যুরাল তৈরির জন্য বরাদ্দ ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে পুরোটাই ব্যয় দেখানো হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিবর্ষ উপলক্ষে বেরোবি ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ বাবদ ইউজিসি থেকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ম্যুরাল তৈরির নামে কাস্ট আয়রনের ওপর ব্রোঞ্জের প্রলেপ দেওয়া পাঁচ ফিট বাই পাঁচ ফিট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু কাস্ট আয়রনের নামে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে।

 

এছাড়া এর দৈর্ঘ্য ৫ ফুট বাই ৫ ফুটের চেয়ে কম। আর ইটের গাঁথুনি ও কংক্রিটের কাজের জন্য ৫ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। অথচ এ টাকা ব্যয় হয়নি বলে অভি’যোগ পাওয়া গেছে।

 

জানা গেছে, ম্যুরাল তৈরির জন্য কোনও দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, এমনকি কোটেশনও করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ম্যুরাল তৈরির অঘোষিত ঠিকাদারের দায়িত্ব পালন করেছে। তারপরেও কাজ শেষ করার আগেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও টাকা বরাদ্দ পাওয়ার আশায় ইউজিসির কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শাহারিয়ার আকফ বলেন, ‘ইউজিসি যে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল তা খরচ করা হয়েছে। আরও অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। টাকা নয় ছয় করার বিষয়টি ডাহা মিথ্যা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, এরকম একটি দায়সারা কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আর এমন দায়সারা কাজ হবেই না বা কেন? তিনি (উপাচার্য) তো বিশ্ববিদ্যালয়েই থাকেন না। মাসের পর মাস তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরির নামে এমন প্রহসন মেনে নেওয়া যায় না।

 

তিনি ইউজিসির কাছে আবেদন জানান তাদের দেওয়া ১০ লাখ টাকা কীভাবে ব্যয় করা হলো তা তদন্ত করে দেখতে।

 

সার্বিক বিষয় জানতে উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *