নজর২৪, ঢাকা- বাংলাদেশ গভীর থেকে গভীরতর সংকটে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সংকট থেকে উত্তরণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর দর্শন অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের সামনে একজন নক্ষত্র, যে নক্ষত্র ধ্রুবতারার মতো, যাকে সামনে রেখে আমরা পথ চলতে পারি। তিনি বাংলাদেশে যে প্রজন্ম গড়ে তুলেছেন, সেই প্রজন্মে তারাই রয়েছে যারা সামনে এগিয়ে যেতে চায়।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মওলানা ভাসানী ধার্মিক ছিলেন। কিন্তু একেবারে অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করতে বলতে চাই— আজ আমাদের যে সংকট, এটি এক গভীর সংকঠ এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের অবশ্যই মওলানা ভাসানীকে অনুসরণ করতে হবে। তার দেওয়া দর্শন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
‘মজলুর জননেতা’খ্যাত মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলি ও কাজ করি, আমরা যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, তাদের কাছে মওলানা ভাসানী সত্যিকার অর্থে একজন দেবতার মতো। তিনিই আমাদের দেখিয়েছেন— মানুষের কী জন্য মুক্তি দরকার, স্বাধীনতার দরকার, সার্বভৌমত্ব দরকার।
‘তিনি (মওলানা ভাসানী) সমাজকে বদলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। সবসময় শোষিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। সেজন্য যারা সমাজের বিত্তশালী, যারা সমাজে প্রভাবশালী, যারা বিত্তের পাহাড় গড়ে তোলে, তারা কখনোই মওলানাকে ভালো চোখে দেখেননি। সাম্রাজ্যবাদের পূজারিরা তাকে বলতেন ভায়োলেন্স। আর আধিপত্যবাদীরা তাকে বলেছেন মৌলবাদী,’— বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, মওলানা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। পাকিস্তানের ঔপনেবিশবাদ ও তার শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশকে যারা নিজস্ব সম্পত্তি বানাতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের সবকিছুকে যারা নিজেদের বলে দাবি করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও তিনি সংগ্রাম করেছেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যে প্রত্যাহার করা হলো, তার আগেই কিন্তু তিনি সারাদেশে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছিলেন।