নজর২৪, চট্রগ্রাম- চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তগুলো থরে থরে সাজানো পেঁয়াজের বস্তা। কিন্তু চাহিদা কিছুটা কম।
ক্রেতা না থাকার পাশাপাশি আমদানি সময় এসির বাতাসে পঁচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। যা লোকসান দিয়ে প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা ধরে। ফলে বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন আমদানীকারকরা।
বুধবার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি তুরষ্ক ও চায়নার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা, পাকিস্তান ৩৫, মিসর ৩০, মায়ানমার ৩৫ এবং দেশী পেঁয়াজ ৫০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
বহাদ্দারহাট থেকে আসা খুচরা ব্যাবসায়ী মো. বাবুল বলেন, খাতুনগঞ্জে প্রচুর পেঁয়াজ আছে। আগে আমরা যে পেঁয়াজ কিনতাম ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। কিন্তু এখন চায়নার পেঁয়াজ কিনেছি ২২ টাকা ধরে। আর পঁচা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা বস্তায়। কিন্তু সেগুলো নিম্ম আয়ের মানুষ ও হোটেলে বিক্রি হয়।
মামুনুর রশিদ বলেন, ২০ শতাংশ টাকাও আমাদের রিকভারি হবে না। কিছু কিছু পেঁয়াজ একদম ফেলে দিতে হচ্ছে একটাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। একেতো গ্যাঁজ ও পানি ঝরে পচে যাচ্ছে। তার ওপর ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। খাতুনগঞ্জে ৫০ কেজির ওজনের বস্তার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, কোটি কোটি টাকা লোকসান, এখন কিন্তু সরকারের মাথা ব্যথা নেই।
ভারত রপ্তানি বন্ধের পর পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ। নানা দেশের পেঁয়াজে ধরছে পচন।