আন্তর্জাতিক ডেস্ক- নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী কর্মকর্তা জাইনা আলী। সম্প্রতি তিনি দেশটির পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছেন। ফিজি বংশোদ্ভূত ওয়েলিংটনের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এই মুসলিম নারী এখন ইতিহাসের অংশ। খবর নিউজিল্যান্ড হ্যারাল্ডের।
জাইনা আলী বলেন, আমার অনেক ভালো লাগছে এটি ভেবে যে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফরম পরে আমি সমাজসেবা করব এবং এর সঙ্গে আমি হিজাবও ব্যবহার করতে পারব।
আমি মনে করি, পুলিশ বাহিনীতে হিজাব অনুমোদনের পর মুসলিম নারীরা পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের জন্য আগ্রহ পোষণ করবেন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার সময় জাইনা আলী একটি বেসরকারি সংস্থার গ্রাহকসেবা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে এ বাহিনীর নকশাকৃত ও অনুমোদিত হেডস্কার্ফ পরিধান করে পুলিশে যোগদান করেন।
দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের সহায়তার উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে জাইনা আলী সে দেশের পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবি নারী অফিসার।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, দেশের বহুজাতি গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে সেবা নিশ্চিত করাই তাদের উদ্দেশ্য। এর ফলে আরো বেশি মুসলমান নারী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী হবে বলে তারা আশা করছে।
এর আগে ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাদের পুলিশ সদস্যরা চাইলে ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব পরতে পারবেন। ২০১৬ সালে একই রকম সিদ্ধান্ত নেয় স্কটল্যান্ডের পুলিশ।
এর আগে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার মাহা শুক্কুর তার পোশাকের সঙ্গে হিজাব পরেন।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, সেকেন্ডারি পুলিশ স্কুল পরিদর্শনের পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সুপারিশের পর ২০১৮ সাল থেকেই ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব সংযুক্ত করার ব্যাপারে কাজ শুরু করে।