অন্তু দাস হৃদয়, স্টাফ রিপোটার- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘গণতন্ত্র আজ কবরে শুয়ে আছে এখন এটাকে মাটি দেয়ার অপেক্ষা। এটাকে আমাদের বাঁচাতে হলে সকলের সম্মিলিতভাবে আন্দোলন ছাড়া কোন পথ নাই।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা জীবন্ত গণতন্ত্র দেখতে চাই, জবাবদিহীতা দেখতে চাই এবং মানুষের কথা বলার অধিকার চাই। সরকার যেভাবে মানুষের কন্ঠরোধ করে রেখেছে সেভাবে দেশ চলতে পারেনা। দেশ ধীরে ধীরে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে যেকোন দিন দেশ ভারতের সিকিমে পরিণত হয়ে যাবে।’
টাঙ্গাইলে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী নানা কর্মসুচির মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশন, ভাসানী পরিবার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্বৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সন্তোষে ভাসানীর পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। এছাড়াও সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলাউদ্দিন। এরপর ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভাইচ চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন ও মোনাজাত করেন। এ সময় কেন্দ্রিয় নেতা খায়রুল কবীর খোকন শিমুল বিশ্বাসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনসারী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের নেতুত্বে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
এদিকে গণস্বাস্থের ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক রাশেদ ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন ও মোনাজাত করেন। এছাড়াও জেলা জাতীয় পার্টি, কমিউনিষ্ট পার্টি, ভাসানী স্মৃতি সংসদ, ন্যামনাল পিপলস পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাসাস, ভাসানী আদর্শ অনুশীলন পরিষদ, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ, ন্যাপ ভাসানী, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কোরআন খতম ও এতিমদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করা হয়। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বরেণ্য এই নেতা মৃত্যুবরণ করেন।