নজর২৪, সিলেট- সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রধান আসামী ধর্ষক এম সাইফুর রহমান ও ৪নং আসামী অর্জুন লস্করকে আজ আদালতে নেওয়া হয়।
আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু আদালতে ধর্ষকদের পক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াননি। সকল আইনজীবীই ধর্ষকদের বিপক্ষে ছিলেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতের সিনিয়র আইনজীবীরা জানান, সিলেট একটি আধ্যাত্মিক নগরী। এ নগরীতে কুলষিত করেছে ধর্ষকরা। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারনে সিলেটের কোন আইনজীবী-ই ধর্ষকদের পাশে দাঁড়াননি।
আরও পড়ুন- গণশৌচাগারে ধর্ষকদের ছবি লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদ
এদিকে ধর্ষকদের পক্ষে কোন আইনজীবী না দাঁড়ানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেট আইনজীবী সমিতিতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশি পাহারার প্রিজন ভ্যানে করে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সাইফুর রহমান ও অর্জুনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এদিন আদালতে গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্করকে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সোমবার সকাল ১১টা থেকে আদালত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়।
এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পলাতক রয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। তাদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল।